আহসান সুমন :

কক্সবাজার শক্রমুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত ময়দানে পাকিস্তানের পতাকা আগুনে পুড়িয়ে দেশের প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে শক্রমুক্ত ঘোষণা দিয়েছিলেন কক্সবাজার ও বান্দরবান সেক্টরের অধিনায়ক সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মরহুম আব্দুস ছোবহান। যিনি জীবদ্দশায় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ধরে রাখতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের জমিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন “মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়” নামে একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে মরিচ্যা পালং এলাকায় নারী শিক্ষার অগ্রদূত হিসেবে আলো জ্বালিয়েছেন রণাঙ্গনের এই বীর যোদ্ধা। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর গুলিতে একটি চোখও হারিয়েছেন তিনি। এভাবে দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তর পরবর্তী সময়ে একটি লাল-সবুজের বাংলাদেশ পুণ:গঠনে বিরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যা এলাকার এই কৃতি সন্তান।

বার্ধক্য জনিত কারণে ২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারী তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে চির সমাহিত করা হয় তাঁকে।

মৃত্যুর আগে ক্যাপ্টেন আব্দুস ছোবহানের লেখা “মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার ও বান্দরবান” নামক বইতে ১২ ডিসেম্বর নিয়ে তিনি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন৷ পাঠকদের সুবিধার্থে যা নিচে হুবহু তুলে প্রকাশ করা হলো।

“কক্সবাজারে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন

মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কাছে দেশের শত্রুরা টিকে থাকতে পারেনি। বিভিন্নভাবে অত্যাচার করেছে এ দেশের মানুষকে, কিন্তু ঠেকাতে পারেনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা। লক্ষ লক্ষ বাঙালি প্রাণ দিয়েছে, ইজ্জত দিয়েছে, সম্পদ দিয়েছে। বিনিময়ে অর্জন করেছে স্বাধীনতা, বাংলার পতাকা, বাংলার সম্মান। দীর্ঘ ৯ মাস বাঙালির সাথে অসম যুদ্ধ করার পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন দেখলো, তাদের বিজয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই, পরাজয় তাদের নিশ্চিত, তখনই তারা যেদিকে পারে পালিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু পালিয়ে যাবার আগেই সমস্ত এলাকা মুক্তিযোদ্ধারা এক এক করে দখল করে নেয় এবং শত শত আলবদর-রাজাকার ও পাকিস্তানি হানাদার সৈন্যদের গ্রেফতার করে। ১২ ডিসেম্বর, ১৯৭১। আমরা কক্সবাজার শহর দখল করার উদ্দেশ্য চারটি বাসে করে পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্প হতে সকাল ১০টায় যাত্রা শুরু করি। রেডক্রস কর্মকর্তা প্রদত্ত সাদা জিপ, কপিল উদ্দিন চৌধুরী (রত্নাপালং) ও জনাব জিয়াউদ্দিন চৌধুরী (রত্নাপালং) আমাদের চারটি বাস জোগাড় করে দেন। আমাদের যাত্রাপথে কোনো কোনো স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার সহযোগীরা উৎপেতে থাকতে পারে এবং অতর্কিত হামলা করতে পারে আশঙ্কা করে অস্ত্রের নল গাড়ির বাহিরের দিকে রেখে সামনে এগুতে থাকি। সেই দিন ছিল মরিচ্যা বাজারের সাপ্তাহিক হাটবার। লোকে লোকারণ্য, আমরা যখন কোটবাজার ও মরিচ্যা বাজারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন রাস্তার দু-পাশে হাজার হাজার লোক দণ্ডায়মান হয়ে দুই হাত ওপরে তুলে আমাদের স্বাগত জানায়। তাদের মুখে ছিলো জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় মুক্তিযোদ্ধা ইত্যাদি গগণবিদারী শ্লোগান। অত্যন্ত সতর্কতার সাথে আমরা বাধাহীনভাবে লিংক রোড পর্যন্ত পৌঁছি। শুনলাম লিংক রোডের দক্ষিণে পাহাড়ে পাকহানাদারবাহিনী অবস্থান করছে। রেকি করে দেখলাম তাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। অতঃপর হাশেমিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত যাবার পর আমার সহযোদ্ধাদের ৪টি গ্রুপে বিভক্ত করি। যাতে কক্সবাজার এলাকা সহজে ঘেরাও করা সম্ভব হয়।

গ্রুপগুলোর অবস্থান হচ্ছে যথাক্রমে-

১ম গ্রুপ:

(আমি নিজে) সোজা রাস্তা দিয়ে পশ্চিম দিকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত।

২য় গ্রুপ:

হাশেমিয়া মাদ্রাসার পশ্চিম পার্শ্ব দিয়ে দক্ষিণে কিছুদূর গিয়ে পশ্চিম দিকের রাডার স্টেশন পর্যন্ত।

৩য় গ্রুপ:

হাশেমিয়া মাদ্রাসা থেকে কিছুদূর পশ্চিমে গিয়ে দক্ষিণে কক্সবাজার রাডার স্টেশন পর্যন্ত।

৪র্থ গ্রুপ:

হাশেমিয়া মাদ্রাসা থেকে সোজাসুজি উত্তর দিকে কিছুদূর গিয়ে বাঁকখালীর পাশ দিয়ে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত।

এ ছাড়া সকল গ্রুপকে নির্দেশ দিলাম রাডার স্টেশনে মিলিত হবার জন্য, এবারে তাগিদ অনুভব করি সার্কিট হাউজে যাবার। কারণ শুনেছিলাম সেখানে পাকহানাদারবাহিনীর অফিস ছিলো এবং সেখানেই তারা আমার দেশের অসহায় মানুষকে ধরে নিয়ে আসতো, হত্যা করতো, নির্যাতন চালাতো। মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করতো। সার্কিট হাউজে পৌছার পর আমার মনপ্রাণ দেহের প্রতিটি শিরা-উপশিরা শিহরিত হয়ে উঠলো। অঝোর ধারায় নেমে এলো দু-চোখ বেয়ে অশ্রু, শুধু আমার কেন, আমার সাথের এমন কেউ ছিল না যারা কষ্ট পায় নি। কী নির্মম পাক-হায়েনাদের আচরণ। এখানে ওখানে ছিটিয়ে আছে মানুষের কংকাল, ঘাড়, মাথা ইত্যাদি। মনে হচ্ছে ওই অবস্থায়ও তারা বাঁচতে চাচ্ছে, স্বাধীনতা চাচ্ছে। মনে হচ্ছে আমাদের কাছে তাদের করুণ আর্তনাদ, আমরা তো বাঁচতে পারলাম না। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত বাঁচান, আত্মীয়-স্বজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করুন। এদেশ স্বাধীন করুন। এদেশের মাটি থেকে পাকিস্তানি হানাদারদের তাড়িয়ে দিয়ে আমাদের হত্যার প্রতিশোধ নিন। ক্ষণকাল নিশ্চুপ থেকে মনের একান্ত গহীনস্থল থেকে কথাগুলো অনুভব করলাম। কষ্ট হয়েছে প্রচুর। পাশাপাশি ঘৃণার সঞ্চার হয়েছে ওই সব পাষণ্ডদের ওপর।

ক্রমান্বয়ে শহরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে করতে দেখলাম জনশূন্য ঘরবাড়ি, অফিস আদালতের সব দালানই ক্ষত-বিক্ষত। এখানে-ওখানে বুলেটের আঘাতের চিহ্ন। হানাদার বাহিনী পরাজয়ের গ্লানি মুছনের জন্য পাগলের মতো উৎপাত করেছে। ইতোমধ্যে আমরা রাডার স্টেশনে পৌঁছি এবং পূর্ব পরিকল্পনা মতো সকল গ্রুপকে একত্রিত অবস্থায় পাই। অতঃপর আমি আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করলাম। পতাকা উত্তোলনের সময় আমার মনের অবস্থা কী হয়েছে তা লিখে বুঝানোর ভাষা আমার জানা নেই। শুধু বুঝেছিলাম শরীরের প্রত্যেকটি লোম শিউরে উঠছিলো। আমার সহযোদ্ধারা সবাই সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি” গাইতে লাগলো। সাথে সাথে আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে নয় মাসের ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা। মনে হলো, আমি যেন আকাশের চাঁদটা পেড়ে এনে দেশের মানুষকে উপহার দিতে পেরেছি। রাডার স্টেশন এমন একটি জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে যা সমুদ্র পথ, আকাশ পথ, স্থল-পথ প্রতিটি দিক থেকে স্পষ্ট দেখা যায়। আর তাই এই স্টেশনে পতাকা উড়ালাম, যাতে মিত্র বাহিনী আমাদের পতাকা দেখে এবং কক্সবাজারের কোনো ক্ষতি সাধন না করে। এছাড়া আবুঝতে পারবে অন্তত এই কক্সবাজারে আর তাদের স্থান নেই। রাডার স্টেশনে পতাকা উত্তোলনের পরে আমরা সমবেত ভাবে শহরের কেন্দ্রস্থল পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে পৌছি। ওখানে পৌছে আমরা দ্বিতীয় দফায় পতাকা উত্তোলন করি। সেখানে পৌঁছে দেখি আরো হৃদয় বিদারক দৃশ্য। শুধু রক্ত আর রক্ত, জমাট বাঁধা রক্ত। অথচ আজকের পৃথিবীতে এক ফোঁটা রক্তের কত যে মূল্য। রক্তের অভাবে মারা পড়ছে হাজার হাজার অসুস্থ মানুষ। কিন্তু সেই সময় আবর্জনার মতো সাগর জলের জোয়ারের ন্যায় মানুষের তাজা রক্ত পদদলিত হয়েছে অন্য মানুষের চলার পথে। শত শত কুকুর, কাক-পক্ষী পান করেছে এসব। একটু ফিরে তাকানোর মতো কেউই ছিলো না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই রক্তের বন্যা থেকে পরিচয় মেলে নি কার রক্ত। তবে নিঃসন্দেহে এই রক্ত ছিলো মুক্তিকামী মুক্তমনের অধিকারী স্বাধীনচেতা বাঙালির। যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। এসব ভেবে মন কাঁদলেও দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হয় নি। কারণ দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। আমি একটি মাইক নিয়ে শহরময় আমাদের আগমন ও পতাকা উত্তোলনের খবর প্রচার করার নির্দেশ করলে সহযোগীরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

মাইকে প্রচার করা হলো:

১. মুক্তিবাহিনী কক্সবাজার দখল করে শত্রুমুক্ত করেছে।

২. রাডার স্টেশন ও পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়েছে।

৩. দেশপ্রেমিক জনগণের ভয় নেই।

৪. শত্রুবাহিনী এবং স্বাধীনতা-বিরোধীরা পাবলিক লাইব্রেরিতে এসে কক্সবাজার ও বান্দরবান এলাকার মুক্তিযুদ্ধের অধিনায়ক আবদুস সোবহানের নিকট আত্মসমর্পণ কর।

এই সংবাদ শোনার সাথে সাথে বাঁধ ভাঙা জোয়ারের মতো হাজার হাজার মুক্তিকামী জনতা পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে উপস্থিত হয়। এ যেন মানুষেরই সমুদ্র। তাদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হলো। স্বজন হারানোর ব্যথা প্রকাশ করতে গিয়ে অনেকে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছেন। আমি কাকে রেখে কার কথা শুনবো খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তাদের সান্ত্বনা দেবার ভাষাও আমার জানা নেই। শুধু স্বাধীন হওয়ার আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছিলাম।

অতঃপর নূর হোটেলের সামনে একটি লম্বা কাঠ দিয়ে আমাকে জিপের ওপর দাঁড় করানো হলো, জনতার উদ্দেশ্যে কিছু বলার জন্য। তাৎক্ষণিকভাবে কী বলবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। তবু যতটুকু পেরেছি তাদের সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করেছি। আমার বক্তব্য ছিল নিম্নরূপ-

মুক্তি পাগল ভাই ও বন্ধুরা, আপনারা আমার সংগ্রামী অভিনন্দন এবং কক্সবাজার জেলার বিজয় বার্তা গ্রহণ করচন। ৯ মাসের সমস্ত দুঃখ বেদনা আজকের এই বিজয় দিয়ে মুছে ফেলুন। আপনারা যাদের হারিয়েছেন তাদের জন্য মন খারাপ করবেন না।

বরং তাদের মৃত্যু নিয়ে গর্ববোধ করুন। মনে রাখবেন তারা স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছেন। তারা চির অমর, এই সেই কক্সবাজার যেখানে ছাত্রনেতা সুভাসকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে পাষণ্ডরা। এই সেই কক্সবাজার, যেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা ফরহাদকে মুমূর্ষু অবস্থায় তার দেহ কুকুর বিড়ালে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেয়েছে। এই সেই কক্সবাজার, যেখানে অ্যাডভোকেট পীযুষ চৌধুরীর শ্রদ্ধেয় পিতা অ্যাডভোকেট জ্ঞানেন্দ্র লাল চৌধুরীকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

তাদেরই প্রাণের বিনিময়ে, তাজা রক্তের বিনিময়ে, পাকহানাদারবাহিনীর দখলমুক্ত আজকে আমাদের কক্সবাজার, বাঙালিদের কক্সবাজার। সমগ্র বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে আমি এই বীর শহীদ ও দেশপ্রেমিক মানুষের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং মহান আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া ও মাগফেরাত প্রার্থনা করছি।

আপনাদের কাছে আমার ছোট্ট অনুরোধ রেখে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি: এখন থেকে পাকহানাদার বাহিনীর সদস্য, রাজাকার, আলবদর, আলশামস স্বাধীনতাবিরোধী

যাদের পাবেন আমার কাছে ধরে নিয়ে আসবেন। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত কক্সবাজারের শাসনকার্য আমাদের নির্দেশেই চলবে।

উক্ত বক্তব্য শেষ করে আমি সহযোদ্ধাদের নিয়ে আমার নির্দিষ্ট অবস্থানে ফিরে যাই।

আমার আনন্দ, আমার আকাঙ্ক্ষা, আমার স্বপ্ন, আমার সম্মান-সবকিছুই আমি ফিরে পেয়েছি, বাংলার পতাকা উড়ানোর ভেতর দিয়ে। সংগ্রামী জীবনের চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে?”

প্রসঙ্গত: লেখাটি মরহুম ক্যাপ্টেন (অবঃ) আব্দুস ছোবহানকে উৎসর্গ করা হলো।

লেখক : গণমাধ্যমকর্মী